Lorem ipsum dolor sit amet,sed diam nonumy eirmod tempor invidunt ut labore et dolore magna aliquyam erat, At vero eos et accusam et justo duo dolores et ea rebum. Lorem ipsum dolor sit amet, no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. Stet clita kasd gubergren, no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. sed diam voluptua.
সংবাদ শেয়ার করুন
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব যা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বাণীতে বলেন
“আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে সারাবিশ্বে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবেলায় সাংবাদিকতা’। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিপাদ্যটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ১৯৯১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’র (বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস) স্বীকৃতি দেয়া হয়। ইউনেস্কোর মতে অবাধ, মুক্তচিন্তা এবং মত প্রকাশের অধিকার হচ্ছে মানবাধিকারের অন্তর্নিহিত শক্তি।
বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকসহ মুক্ত চিন্তার মানুষদের ওপর চলছে নিষ্ঠুর আক্রমণ। সরকারবিরোধী কন্ঠস্বরকে নিস্তব্ধ করার জন্যই একের পর এক কালো আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সাংবাদিক ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে দিনের পর দিন কারাগারে অন্তরীণ রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদের জামিন পাওয়ার অধিকারকেও বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করতেই স্বাধীন গণমাধ্যমের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে কতৃর্ত্ববাদী সরকার। কোন স্বৈরশাসকই চিন্তা, মূদ্রণ ও লেখনীর স্বাধীনতা সহ্য করতে পারে না। বাংলাদেশেও এখন একদলীয় স্বৈরশাসনে মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে উৎপীড়ণের খড়গ। এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি দেশে—বিদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হলেও আওয়ামী সরকার এই আইনকে সাংবাদিক, ভিন্ন মতের মানুষ ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন করতে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে, যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে সত্য কথা বলতে না পারে। আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে আহবান জানাচ্ছি—অবিলম্বে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমি সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জোরালো আহবান জানাচ্ছি।”