অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসের পর সাকিব-মুস্তাফিজের বোলিংয়ে কষ্টের জয় বাংলাদেশের
Lorem ipsum dolor sit amet,sed diam nonumy eirmod tempor invidunt ut labore et dolore magna aliquyam erat, At vero eos et accusam et justo duo dolores et ea rebum. Lorem ipsum dolor sit amet, no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. Stet clita kasd gubergren, no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. no sea takimata sanctus est Lorem ipsum dolor sit amet. sed diam voluptua.
বাংলাদেশ এ দিন একাদশের বাইরে রাখে লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ ও সাইফ উদ্দিনকে। তবে একাদশে ফেরেন সাকিব, মুস্তাফিজ ও সৌম্য।শক্তি তাই কমার চেয়ে বরং আরও বেড়েছে বললেও ভুল হয় না। কিন্তু সবচেয়ে ভুগতে হলো এই ম্যাচেই।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে নতুন আশার জোগান দেয় নতুন উদ্বোধনী জুটি। শুরুতে দ্রুত রান তোলার ভার বলতে গেলে একাই বয়ে নেন তানজিদ। ফ্লিক-কাট-ড্রাইভ মিলিয়ে প্রথম পাঁচ ওভারে সাতটি বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকে।
দলের রান তখন ৪২। তাতে ৩৯ রানই তানজিদের, সৌম্যর ছিল ৬ বলে ২।
সিরিজের আগের ম্যাচগুলিতে পাওয়ার প্লের ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনার শিকার হওয়া দল এবার ৬ ওভারে তুলতে পারে ৫৭ রান।
সৌম্য তখনও ঠিক ছন্দ পাচ্ছিলেন না। ১১ বলে তার রান ছিল ৬। প্রথম বড় শট আসে তার ব্যাট থেকে সপ্তম ওভারে। ব্রায়ান বেনেটের অফ স্পিনে ছক্কা মারেন তিনি রিভার্স সু্ইপ খেলে। পরের ওভারে আরেকটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে লুক জঙ্গুয়ের বলে নান্দনিক ইনসাইড আউট শটে।
পরের ওভারে ফারাজ আকরামকে ছক্কায় ওড়ানোর পর তানজিদ ফিফটিতে পা রাখেন ৩৪ বলে।
দুইজনের ব্যাটে দল দ্রুত ছুটে যায় শতরানে। ১৪ ম্যাচ পর শুরুর জুটিতে শতরান পায় বাংলাদেশ।
জুটি ভাঙে তানজিদের বিদায়ে। ৫১ রানে সহজ ক্যাচ দেওয়া ব্যাটসম্যান বিদায় নেন আর এক রান যোগ করেই।
তানজিদের ৫২ রান আসে ৩৭ বলে। জঙ্গুয়ের ওই ওভারেই সঙ্গীর পথ ধরেন ৩৪ বলে ৪১ রান করা সৌম্য।
ধসের আভাস তখনও সেভাবে পাওয়া যায়নি। কিন্তু দ্রুতই বদলে যায় দৃশ্যপট।
প্রথমবার তিনে ব্যাট করতে নেমে তাওহিদ হৃদয় সীমানায় ধরা পড়েন রাজার বলে। বেনেটের পরের ওভারেই আউট হয়ে যান সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড হয়ে যান দুই ব্যাটসম্যানই।
হতচকিত ব্যাটিং লাইন আপ ভেঙে পড়ে তাসের ঘরের মতো। এলোমেলো শট খেলে জাকের আলি ধরা পড়েন থার্ড ম্যানে (৭ বলে ৬)। জঙ্গুয়ের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান রিশাদ হোসেন। তাসকিন আহমেদ শূন্যতে ফেরেন রান আউটে।
লোয়ার অর্ডারও পারেনি তেমন কিছু করতে। উদ্বোধনী জুটিতে ১১ ওভার খেলে ফেলা দল অলআউট হয়ে যায় ২০ ওভারের আগেই।
এই পুঁজির পর বোলিংয়ে যেমন শুরু দরকার, বাংলাদেশকে তা এনে দেন তাসকিন আহমেদ। প্রথমবার ওপেন করতে নামা ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান তিনি প্রথম ওভারেই।
সিকান্দার রাজা তিনে নেমে তানজিম হাসানের এক ওভারে চার মারেন তিনটি। তার ডানাও ছেটে দেন তাসকিন। ভেতরে ঢোকা বলে উপড়ে যায় ১০ বলে ১৭ রান করা জিম্বাবুয়ের অধিনায়কের মিডল স্টাম্প।
উইকেট শিকারে যোগ দেন পরে স্পিনাররাও। টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে ফেরান সাকিব, রিশাদকে রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায় আউট হন ক্লাইভ মাডান্ডে।
দশম ওভারে ৫৭ রানে ৪ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে লড়াইয়ে ফেরান জোনাথান ক্যাম্পবেল ও রায়ান বার্ল। তানভির ইসলাম ও তানজিম হাসানকে দারুণ দুটি ছক্কা মারেন ক্যাম্পবেল। তানজিমকেই চোখধাঁধানো ফ্লিকে গ্যালারিতে পাঠান বার্ল।