চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার
চালককে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। এ সময় সাতটি অটোরিকশা, চারটি টি ব্যাটারি ও বেশ কিছু যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়য়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কুমিল্লা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন , কুমিল্লার সদর দক্ষিন উপজেলার হারাতলী এলাকার মহাসড়কে পিষ্ট অবস্থায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে মৃতদেহটি অটোরিক্সা চালক পরানের বলে ফিঙ্গার প্রিন্ট পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত পরানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। গত কিছুদিন যাবৎ কুমিল্লা মহানগরীসহ সদর দক্ষিন ও বুড়িচং থানা এলাকায় একটি চক্র প্রায় একই রকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটায় বলে জেলা পুলিশের কাছে তথ্য আসে। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ কাজ শুরু করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরান হত্যাকান্ডে জড়িত জাবেদকে গত ২৭ মে রাতে আদর্শ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর রেলগেট এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে মতে মঙ্গলবার রাতে (২৮মে) জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকুতরা হলেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার মোঃ শহিদুল ইসলাম জাবেদ (২৬) মোঃ শরীফ (২৫), মোঃ রুবেল (২৮), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মোঃ আমির হোসেন (৩২) ও মোঃ সোহাগ হোসেন (২৫)। গেলো কয়েকদিন ধরে কোতয়ালী মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আমির হোসেন এর গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে সাতটি অটোরিক্সা, চারটি অটোরিক্সার ব্যাটারী এবং বেশ কিছু অটোরিক্সার যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়। গ্যারেজ মালিক আমির হোসেন এবং তার অপর সহযোগী সোহাগ মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাই অটোরিক্সা কিনে তাৎক্ষনিকভাবে রং সহ নানা রকম পরিবর্তন ঘটিয়ে অন্যত্র বিক্রয় করে আসছে।
আসামীদের বরাত তিনি আরো বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ সন্ধ্যায় মহানগরীসহ আশপাশ এলাকা হতে কৌশলে অটোরিক্সা ভাড়া নিয়ে থাকে। একপযায়ে সুকৌশলে অটোরিক্সার ড্রাইভারকে বিশেষ উপায়ে তৈরী চেতনানাশক মিশ্রিত বিস্কুট, কোমলপানীয় খাইয়ে মহাসড়কে ড্রাইভারকে ফেলে রেখে অটোরিক্সাটি নিয়ে চলে যায়। এক্ষেত্রে চেতনাহীন ড্রাইভার মহাসড়কে ভারী যানবাহনে পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরন করে। জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত চক্রটি বেশ কয়েকটি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।