কুমিল্লার ১৩ উপজেলায় অধিকাংশই এমপি মন্ত্রীর স্বজন।। নির্বাচনে বাহার বসন্ত
মোবারক হোসেন
কুমিল্লা ১৩ উপজেলায় ৪ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গত ৮ মে থেকে শুরু করে ৫ জুন পর্যন্ত ৪ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তবে আওয়ামীলীগও তাদের দলীয় প্রতিক প্রদান করেনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সকলে নির্বাচন করেছেন। কুমিল্লার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৪টিতে স্বতন্ত্র এমপি’র স্বজনরা বিজয়ী হয়েছেন। আরেকটি উপজেলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর শ্যালক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, মেঘনা ও বুড়িচং উপজেলায় এমপি’র ঘনিষ্ঠজনরা নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও ভোটের শীটে ছিল প্রচুর ভোট। নির্বাচনে কয়েকটি উপজেলা ছাড়া অধিকাংশ উপজেলায়ই বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন এমপি স্বজন ও তাদের নিকটজনরা।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ সকল পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
চার স্বতন্ত্র এমপি’র স্বজনরা নির্বাচিত:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার, মুরাদনগর ও হোমনা উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র এমপিদের স্বজনরা নির্বাচিত হয়েছেন। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় স্থানীয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এম.এ জাহের এর ভাতিজা আবু তৈয়ব অপি নির্বাচিত হন। এ উপজেলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রার্থী ছিলেন ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী। স্বতন্ত্র এমপি’র স্বজনের নিকট আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে। দেবিদ্বার উপজেলায় স্বতন্ত্র এমপি আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মামুনুর রশিদ নির্বাচিত হয়েছেন। সেখানে আওয়ামীলীগ এবং সাবেক সংসদ সদস্য রাজী ফখরুল কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রৌশন আলী মাস্টার মনোনয়ন দেন সাহিদা বেগমকে। তিনিও নির্বাচনে পরাজিত হন। হোমনা উপজেলায় আবারও নির্বাচিত হন রেহেনা মজিদ। তিনি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল মজিদের স্ত্রী। তার সাথে নির্বাচনে অংশ নেন উপজেলা আওামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান আবুল। তাকে সাবেক সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী সমর্থন দেন। মুরাদনগরে নির্বাচিত হন স্থানীয় এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকারের পুত্র আহসানুল আলম কিশোর। তিনি ৮৬ হাজার ৩৭৫ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরওয়ার চিনু পান ১ হাজার ৪শ’ ২ ভোট।
নির্বাচনে হাজী বাহার বসন্ত
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহা উদ্দিন বাহার। রাজনীতিতে তিনি পোড়খাওয়া নেতা। রাজনীতিতে যেমন অভিজ্ঞতা রয়েছে তেমনি রয়েছে নির্বাচনের মাঠের রাজনীতিতেও। এক সময়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে তারই নির্দেশনায় অনেক ছাত্রনেতা তৈরি হয়। তিনিও নবীন বয়সে কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান হন তখনকার হেভিওয়েট নেতাদের পরাজিত করে। নির্বাচনের মাঠে তিনি বেশ সক্রিয়। গত দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও তিনি ম্যাজিক দেখান। ১৯৯৬ সালে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন। শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি বরুড়া এবং চান্দিনায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান। সেখানেও তিনি সফল হয়েছিলেন। দেবিদ্বারে বিগত উপজেলা নির্বাচনে আবুল কালামের বিজয়ের পেছনে হাজী বাহারের সমর্থন কিংবা হাত ছিল। তেমনি মুরাদনগরের বর্তমান এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার, দেবিদ্বারের এমপি আবুল কালাম এবং বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার সংসদ সদস্য এম.এ জাহেরের নির্বাচনের বিজয়ের পেছনেও ছিলেন হাজী বাহার। এবার উপজেলা নির্বাচনে সদর দক্ষিণ, নাঙ্গলকোট, আদর্শ সদর এবং বুড়িচং উপজেলায় হাজী বাহারের ভূমিকা ছিল ব্যাপক। আদর্শ সদর উপজেলায় নিজের প্রার্থীদের বিনা ভোটে বিজয়ী করে আনেন। সদর দক্ষিণ এবং নাঙ্গলকোটে হাজী বাহারের সহস্ত্রাধিক নেতাকর্মী দিনরাত পরিশ্রম করেন। সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি। বুড়িচং উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আখলাক হায়দারের মাঠের অবস্থা প্রথম দিকে ভালো ছিল না, নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্বে হাজী বাহার সমর্থিত মহানগরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী গণসংযোগ করেন বুড়িচং উপজেলায়। নির্বাচনের দিনও অবস্থান নেন সে এলাকায়। এ চার উপজেলা ছাড়াও মুরাদনগর, দেবিদ্বার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ীরাও হাজী বাহারের আশির্বাদপুষ্ট। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনে আলোচিত ছিলেন হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। অনেকেই মনে করেন এ নির্বাচন ছিল হাজী বাহারের নির্বাচনী বসন্ত উৎসব। তিনি সারা জেলায় নিজের অবস্থানকে সুসংহত করেন। এক সময়ে কুমিল্লার অনেক এমপি মন্ত্রীর কাছে কোনঠাসা থাকা হাজী বাহার এখন আওয়ামীলীগের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ একক প্রভাবশালী নেতা বলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এমপি মন্ত্রীর সমর্থনই মুখ্য
উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকাই ছিল মুখ্য। ব্যতিক্রম ছিল সদর দক্ষিণ ও নাঙ্গলকোট উপজেলা। বাকি উপজেলাগুলোতে এমপিরা যা চেয়েছেন তাই হয়েছে। চৌদ্দগ্রামে এমপি মুজিবুল হকের সমর্থিত অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুল। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৮শ’ ৯৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে এম গোলাম ফারুক পেয়েছেন ৫ হাজার ৯শ’ ৭৭ ভোট। মনোহরগঞ্জে স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সমর্থন ছিল মো. আবদুল মান্নান চৌধুরীর প্রতি। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭৭ হাজার ২৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬শ’ ১২ ভোট। বরুড়ায় মো. আবদুল লতিফ ভূইয়া কামাল কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না হলেও তার প্রতি সমর্থন ছিল স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিউদ্দিন শামীমের। তাছাড়াও সাবেক এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুলেরও সমর্থন ছিল তার প্রতি। জনশ্রুতি রয়েছে বিএনপি জামায়াতের শীর্ষ নেতারাও তার পক্ষে ছিলেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের শ্যালক। মেঘনা উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন এমপি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদের সমর্থিত তাজুল ইসলাম তাজ।
কুমিল্লার ১৩ উপজেলায় যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন
মনোহরগঞ্জ
চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৭৭ হাজার ২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন পেয়েছেন ১১ হাজার ৬১২ ভোট।
লাকসাম
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউনুছ ভুঁইয়া আনারস প্রতীকে ৮১ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা জাসদের সভাপতি বিকাশ চন্দ্র সাহা দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৪৪ ভোট।
মেঘনা
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ আনারস প্রতীকে ১৮ হাজার ৭০০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত আহ্বায়ক মো. রমিজ উদ্দিন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ২১০ ভোট।
বুড়িচং
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখলাক হায়দার ঘোড়া প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাঁছির খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৩ ভোট।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ
কুমিল্লার সদর দক্ষিণে এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই বাবলু (হেলিকপ্টার প্রতীক) ২০ হাজার ৭৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আখতারুজ্জামান রিপন (আনারস প্রতীক) ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইসমাইল মজুমদার (মাইক প্রতীক) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে খন্দকার ফরিদা ইয়াসমিন (কলস প্রতীক) জয় লাভ করেছে। তারা সবাই নতুন মুখ।
বরুড়া
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মো. হামিদ লতিফ ভূঁইয়া কামাল (আনারস প্রতীক) ৮৯ হাজার ৬৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এএনএম মাইনুল ইসলাম ৪২ হাজার ৫৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. কালাম হোসেন ভূঁইয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মিনুয়ারা বেগম (কলস প্রতীক) জয় লাভ করেন। তারাও সবাই নতুন মুখ।
ব্রাহ্মণপাড়া
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু তৈয়ব অপি ঘোড়া প্রতীকে ৪৩ হাজার ৬৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেক্টর কামান্ডার্স ফোরামের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭০ ভোট।
অপি কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য আবু জাহেরের ভাতিজা।
দেবিদ্বার
কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন আনারস প্রতীকে ৯২ হাজার ৫২১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুমিল্লা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলীর স্ত্রী শাহিদা আক্তার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৮০ ভোট।
মামুন কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই।
মুরাদনগর
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল আলম সরকার কিশোর আনারস প্রতীকে ৮৬ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার চিনু ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ৪০২ ভোট।
নাঙ্গলকোট
নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুল হাসান বাছির ভূঁইয়া নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দোয়াত কলম প্রতীকে ৪৬ হাজার ৭৮৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম উপজেলা বিএনপির সদস্য কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৩১২ ভোট পেয়েছেন।
হোমনা
হোমনা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সদস্য রেহেনা বেগম আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪০ হাজার ২৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সিদ্দিকুর রহমান আবুল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৩০ ভোট।
চৌদ্দগ্রাম
চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় মো. রহমত উল্লাহ বাবুল উপজেলা আনারস প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে এম গোলাম ফারুক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৯৭৭ ভোট। রহমত উল্লাহ বাবুল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।