কুমিল্লায় বিএনপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় মামলা করেছেন ইউসুফ মোল্লা টিপু

গত ১৭মে কুমিল্লা মহানগর ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কুমিল্লা কোতওয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।
মামলার আসামীরা হলেন, কুমিল্লা নগরীর পশ্চিম ধর্মসাগর পাড় এলাকার রশিদ মিয়ার ছেলে মো. মহসিন (৩২), সদর দক্ষিণের আশ্রাফপুর ইয়াসিন মার্কেট এলাকার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ছেলে সালাহ উদ্দিন ওরফে রকি (৩০), শাসনগাছা দফাদার বাড়ি এলাকার অজ্ঞাত পিতার ছেলে মো. সোহাগ হোসেন (৩০), কালিয়াজুড়ি এলাকার সাইফুল ইসলাম (২৫), এবং পাঁচথুবী ইউনিয়নের শ্রীপুর এলাকার মারুফ আহমেদ (২৪) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জন।
সূত্রে জানা যায়, ১৭ মে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ রোডে অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলবদ্ধভাবে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। তারা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, লোহার রড, লাঠি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ের সামনে এসে উত্তেজনাকর ও উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। এরপর একপর্যায়ে তারা দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায়।অভিযোগে বলা হয়, তারা কার্যালয়ের আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।হামলাকারীরা পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুরো ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
মোঃ ইউসুফ মোল্লা জানান, ১৫ মে কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এই কমিটি বাতিলের দাবিতে অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিল। অভিযুক্তরা নিজেদের পুরোনো ত্যাগী ও পদবঞ্চিত কর্মী দাবি করে শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। তিনি অভিযোগ করেন, এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং দলের অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি তৈরির গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা মামলাটি গ্রহণ করেছি। এবং ইতিমধ্যেই আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি। আশা করছি অতি দ্রুতই আসামিরা ধরা পড়বে।