November 18, 2025

কুমিল্লাকে নিয়ে হাজী ইয়াছিন এর স্বপ্ন-ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা

0
সংবাদ শেয়ার করুন

পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হাজী ইয়াছিন এর কুমিল্লা নিয়ে যত স্বপ্ন

সম্প্রসারণ, মেট্রোপলিটন থানা,
কুমিল্লা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ওয়াসা, গোমতী নদীতে ২টি নতুন ব্রিজ ও চানপুর ব্রিজকে ডাবল লেনে রূপান্তর। বিমানবন্দর চালু করা। প্রবাসী ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশাজীবীদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো-
শিক্ষা:
আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে মিল রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। নতুন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়া।
শিল্প কর্মসংস্থান :
ইপিজেড এর পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘিরে ইপিজেড সুবিধা সম্বলিত শিল্পাঞ্চল স্থাপন, বিসিক নগরীকে পূনরুজ্জীবিত করে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স ও তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, কুমিল্লাকে আইটি হাবে রূপান্তরিত করে তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

স্বাস্থ্য :
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা সদর হাসপাতাল ও সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড সংখ্যা, আইসিইউ ও অন্যান্য আধুনিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আধুনিকায়ন । প্রতিটি নাগরিকের জন্য চিকিৎসক ও হেলথ কার্ড চালু।
কৃষি ও খাদ্য :
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় আধুনিক হিমাগার নির্মাণ। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে কৃষি মার্কেট স্থাপন। কৃষি, মৎস্য ও গবাদি পশুর জন্য কৃষি বীমা চালু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের বিশেষ প্রণোদনা ও ফার্মার্স কার্ড প্রদান।

যানজট জলাবদ্ধতা ও খাল খনন :
যানজট নিরসনে পর্যাপ্ত প্রশস্ত রাস্তা, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস ও ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ। সকল খাল-নদী দখলমুক্ত ও পুণঃখনন করা।
পরিবেশ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা :
সদর দক্ষিণ উপজেলার ৫০টির অধিক গ্রামকে সিটি ও ইপিজেডের বিষাক্ত বর্জ্য থেকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক মানের বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন। পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক বনায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ।
নারী ও শিশু :
নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারী কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে অর্থ সহায়তা এবং নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রাধিকার প্রদান। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুসহ ইয়াতিমদের পুনর্বাসন।
ক্রীড়া ও ঐতিহ্য :
তরুণদের দেশীয় সংস্কৃতি চর্চা, খেলাধুলা ও নৈতিক শিক্ষায় উৎসাহিতকরণের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পরিবেশ তৈরি করা । প্রতিটি ইউনিয়নে আধুনিক খেলার মাঠ ও উপকরণের ব্যবস্থা। লালমাই, কোটবাড়ি, শালবন বিহার, রাজেশপুর, জামবাড়ী ও গোমতী নদীকে ঘিরে আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন।
সন্ত্রাস ও মাদক :
কিশোর ও যুব সমাজকে সন্ত্রাস ও মাদক থেকে রক্ষার্থে সর্বাত্মক সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। মসজিদ, মন্দির, গির্জার উন্নয়ন এবং মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মাবলম্বীদের সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ।
সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী :
সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর আওতা বৃদ্ধি করা হবে। যেমন: বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, জুলাই যোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইমাম-মোয়াজ্জিন ও অন্যান্য ধর্মীয় পুরোহিতদের মাসিক সম্মানী চালু করা। পারিবারিকভাবে ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *