মুরাদনগর ও দেবিদ্বারে উৎসাহ উদ্দীপনা নেই ভোটার খরারও শঙ্কা
নিজস্ব রিপোর্ট:
কুমিল্লার দেবিদ্বার এবং মুরাদনগরে নেই প্রচারণা। উৎসাহ নেই ভোটারদের মাঝেও। ভোটার উপস্থিতি থাকবেনা বলে আশঙ্কা অনেকের।
দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক সংসদ সদস্য রাজি ফখরুল ইসলাম, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টার সমর্থীতদের মাঝে নানা হিসেব নিকেশ চলছে।
ভোটাদের মাঝে নেই কোন আগ্রহ। অনেকটা আগামই বলে দিচ্ছে নির্বাচনে বিজয়ী হবেন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ছ্টো ভাই মামুনুর রশিদ। গত উপজেলা পরিষদ
ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে অংশ নিয়ে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ী হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। সংসদ নির্বাচনের পর সংসদ সদস্য রাজী ফখরুল সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। নেতা কর্মীদের অনেকেই তার সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। বলা চলে দেবিদ্বার এখন নির্বাচনের আবুল কালাম আজাদ বসন্ত চলছে।
২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমেই আবুল কালাম আজাদ নিজের অবস্থান তৈরী করে নেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন।
দেবিদ্বারের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দুই প্রভাবশালী নেতা কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাষ্টার ও রাজী ফখরুল ইসলাম কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তারা এক হয়েও কোন যোগ্য প্রার্থী দিতে পারেননি। রোশন আলী মাষ্টারের স্ত্রী শাহীদা আক্তারকে তাদের প্রার্থী করেন। আবুল কালাম আজাদও কোন রাজনৈতিক নেতাকে প্রার্থী না করে নিজের ভাইকে প্রার্থী করেন। এই দুই প্রার্থীর কারণে সচেতন মানুষসহ সাধারণ ভোটারদের মাঝে কোন আগ্রহ নেই। সংসদ সদস্য হওয়ার কারণেই আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে অনেক নতুন নতুন নেতা কর্মী সম্পৃক্ত হচ্ছেন। অনেকটা নেতা কর্মী ভিত্তিক ভোটই হবে দেবিদ্বারে। শেষ মুহুর্তে রোশন আলী মাষ্টার ও রাজী ফখরুল কোন চমক দেখাতে না পারলে কিংবা মাঠে ব্যাপক শোডাউন না করতে পারলে নিরুত্তাপ নির্বাচনে মামুনুর রশিদই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে বলে স্থানীয়রা জানান।
এদিকে মুরাদনগরে একক আধিপত্য রয়েছে জাহাঙ্গীর আলম সরকার এমপি’র। মাঠে নেই সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। ভোটের মাঠে প্রার্থী থাকলেও প্রচারণায় নেই কেউ। নেই উৎসাহ উদ্দীপনা। জাহাঙ্গীর আলম সরকারের পুত্র বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আহসানুল আলম কিশোর। তিনিই এককভাবে নির্বাচিত হয়ে পড়বেন, এটাই ধারণা। ভোটকেন্দ্রে ভোটার আসার সম্ভাবনা নেই, এমন অভিমত স্থানীয় মানুষের।