কুমিল্লায় মা ও দুই সন্তান হত্যা মামলা ডিবিতে

কুমিল্লার মুরাদনগরে মা, ছেলে ও মেয়েকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানের নির্দেশে সোমবার রাত ১১টার দিকে মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘সোমবার রাত ১১টার দিকে মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আমরা মামলার অধিকতর তদন্ত করব এবং যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাব।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক স্কুল শিক্ষকের মোবাইল চুরির ঘটনা থেকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন ডেকে এনে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার থেকে কাশিমপুর ও কড়ইবাড়ি গ্রাম থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদিকে ঢালাও গ্রেপ্তারের ভয়ে এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনকে এজাহারনামীয় এবং ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলায় র্যাব এবং সেনাবাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।
আসামিরা হলেন কড়ইবাড়ি গ্রামের বাচ্চু মিয়া (মেম্বার), রবিউল আওয়াল, আতিকুর রহমান, মো. বায়েজ মাস্টার, দুলাল, আকাশ, নাজিমুদ্দিন বাবুল ও ছবির আহমেদ।
এদের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আজ আদালত আদেশ দিতে পারেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে, রিমান্ড মঞ্জুর হলে ডিবি পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।’